কোম্পানীগঞ্জে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা মিজানুর কারাগারে

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসাইন আহমেদ বলেন, দুটি নাশকতাসহ মোট চারটি মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বেলা ১টার দিকে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষ মিজানুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দিন খান।
এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা শহর থেকে মিজানুর রহমান আটক করা হয়। পরে পৌরসভা ভবনে হামলা-ভাঙচুর, গুলি, নাশকতাসহ চারটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগের কর্মী আলাউদ্দিন (৩২)।