খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩, একজনের স্বীকারোক্তি

খুলনা নগরের বয়রা এলাকায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরের বয়রা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আজ বুধবার দুপুরে একজন আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অন্য দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বয়রা ক্রস রোড এলাকায় এস এম নেওয়াজ মোর্শেদ (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি সোনাডাঙ্গা মেইন রোডের এস এম শাহজাহানের ছেলে।

রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুর ইসলাম (২৩) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। নুর ইসলাম ওই মামলার দুই নম্বর আসামি। দুপুরের দিকে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেন।

ওই ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মেজ ভাই শামীম নেওয়াজ। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুর ইসলাম (২৩) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। নুর ইসলাম ওই মামলার দুই নম্বর আসামি। দুপুরের দিকে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেন। গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি হলেন নগরের ময়লাপোতা এলাকার দুই ভাই রানা হোসেন (২৫) ও শফিকুল হোসেন (৩২)। আজ দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ১ নম্বর বয়রা ক্রস রোডের রুবির দোকানের সামনে একটি সেলুনে চুল-দাড়ি কাটাতে অপেক্ষা করছিলেন নেওয়াজ। এ সময় সেখানে ১০-১২ ব্যক্তি এসে তাঁকে ধাওয়া দেয়। নেওয়াজ দৌড়ে সোনাডাঙ্গা আবাসিকের দিকে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে নেওয়াজ মোর্শেদকে হত্যা করা হয়েছে বলে নুর ইসলাম স্বীকার করেছেন। কোপানোর সময় নুর ইসলামের হাতও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেটে গেছে। গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন। নিহত নেওয়াজের বিরুদ্ধেও সোনাডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, মাদক, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।