খুলনায় ‘হিজড়া’ বলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হত্যা করা হয় শুভকে

হত্যা
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র শুভ হাওলাদারকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে খুলনা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের কাছে সে হত্যার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দেয়।

ওই আসামির বয়স ১৭ বছর। স্বীকারোক্তির পর তাকে যশোরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগে গত সোমবার রাতে ওই কিশোরকে গোপালগঞ্জ সদর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুভ হাওলাদারের মায়ের করা মামলায় ওই কিশোরকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, নিহত শুভর বাবা একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী। এ কারণে শুভ পুরোনো ফেলে দেওয়া বোতল কুড়াতে ওই মাঠে গিয়েছিল। আসামি আগে থেকেই মাঠের কোনায় ছিল। সে শুভকে ‘হিজড়া’ বললে প্রত্যুত্তরে শুভ গালি দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শুভর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করে মাঠের কোনায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোর।

রাতে গ্রেপ্তারের পর ওই কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ওই কিশোর ছাড়া অন্য কেউ ছিল না বলে জানান ওসি।

এর আগে গত রোববার দুপুরে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন শুভর মা ঝুমুর বেগম। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে নগরের ময়লাপোতা এলাকা থেকে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই কিশোর মামলার তিন নম্বর আসামি। পরে রাতে মামলার এক ও দুই নম্বর আসামিকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার এজাহারে নাম থাকা তিনজনই কিশোর। প্রধান আসামির এক আত্মীয়ের দোকানে মাঝেমধ্যে গিয়ে বিরক্ত করার কারণে শুভকে হত্যা করা হতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন ঝুমুর বেগম।

শুভ হাওলাদার নগরের আনিস বিশ্বাস আদর্শ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে সোনাডাঙ্গা এলাকার ইব্রাহিম হাওলাদারের একমাত্র সন্তান।