খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

করোনায় মৃত্যু
ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নতুন ৪ জন নিয়ে বিভাগে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১২৪ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও নড়াইলে একজন করে মারা গেছেন।

এদিকে গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগে ১ হাজার ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৫। গত ছয় মাসের মধ্যে এটিই এক দিনে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঝিনাইদহে সর্বোচ্চ ১৪ জন আছেন। এ ছাড়া যশোরে ১৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৬ জন, বাগেরহাটে ৫ জন, নড়াইলে ১ জন, সাতক্ষীরায় ও খুলনায় ৪ জন করে এবং চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরায় ৩ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। তবে এই সময়ে মেহেরপুরে কেউ করোনা শনাক্ত হননি।

এর আগের দিন বিভাগে করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

এখন পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৮ জন, ঝিনাইদহে ২৬৫ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯ জন, মেহেরপুরে ১৮১ জন, বাগেরহাটে ১৪৪ জন, নড়াইলে ১২১ জন, মাগুরায় ৯০ জন ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের ১৯ মার্চ বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৭৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১ জন। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। ওই জেলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে টানা ১১১ দিন পর বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজারের নিচে নেমেছে। বর্তমানে বিভাগে মোট ২ হাজার ৯৮৬ রোগী হাসপাতাল ও বাড়িতে সঙ্গনিরোধে আছেন। তাঁদের মধ্যে ২২৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৩ জুন বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশন মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৮৩৬ করোনা রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।