গণপরিবহন চালু হলেও রংপুরে যাত্রী কম
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার তা পুনরায় চালু হয়েছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা কম। বাস চলাচলের প্রথম দিনে বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্পটে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। কখনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে, আবার কখনো তা মানা হয়নি বলে সরেজমিনে দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মেডিকেল মোড়, মডার্ন মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাস চলাচল শুরু হলেও যাত্রীর উপস্থিতি খুব কম। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক ছিল। তবে বাসের সহযোগীদের মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনিতে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
এ সময় একটি বাসের সহযোগী বলেন, ‘যাত্রী হাঁকডাকের সময় মাস্কটি নিচে নামিয়ে ডাকি। তখন থুতনিতে থাকে।’ তবে গাড়ির চালকদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যাত্রীদের আসন বণ্টনে একটির পর একটি আসনে যাত্রী বসার কথা থাকলেও সেটি মেনে চলা হয়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে বাস পরিবর্তন করতে হবে। এটি বিড়ম্বনা। গণপরিবহনই যদি চলে, তাহলে অন্য জেলায় যেতে বাস পরিবর্তন করার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
মডার্ন মোড়ে কথা হলো বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁগামী যাত্রীদের সঙ্গে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোবায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি সিরাগঞ্জ যাব। কিন্তু এই পথটুকু যেতে চারবার বাস পরিবর্তন করতে হবে। রংপুর সীমানার মধ্যে প্রথম ধাপে ধাপেরহাট, এরপর সেখান থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, সেখানে থেকে বগুড়া এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ।’
নওগাঁগামী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রংপুর থেকে বাড়ি যাচ্ছি। সামান্য পথে চারবার বাস পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু উপায় না পেয়ে এরপরও যেতে হচ্ছে বাড়ি।’
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, কী আর করার আছে! সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে হবে।