‘গণহারে’ শোকজ নিয়ে হতাশ ও বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

আওয়ামী লীগের লোগো

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটির দুই শতাধিক নেতাকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার ঘটনায় অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের আশার কথা শোনালেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম মোকসেদ আলম। শোকজ নোটিশে হতাশ ও বিভ্রান্ত না হতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তার দীঘিরচালা এলাকায় নিজ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতা–কর্মীদের এ আহ্বান জানান মোকসেদ আলম। তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকে শোকজের কারণে তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাঁদের কাছে নানা সময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য পৌঁছাচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি এবং নেতা–কর্মীদের হতাশ না হওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সংগঠনকে শক্তিশালী ও দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শোকজ নোটিশ একটা সাংগঠনিক নিয়ম বলে উল্লেখ করেন মোকসেদ আলম। বিষয়টি নিয়ে কারও বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয় নিয়ে শোকজ করা হয়েছিল, তাঁর জবাব দেওয়া হয়েছে। অনেকে দিচ্ছে। আমরা আমাদের বক্তব্য নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিত আকারে দিয়েছি। সেটা সন্তোষজনক হবে বলে আমি মনে করি। আমাদের আবেগ ও অজ্ঞতার কারণে কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই সেটা জননেত্রী ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সখ্য রাখায় ১ জুন থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে শোকজ নোটিশ দেন। সেই থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।

জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী আলীম প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কৃত হলেও তিনি তো মানুষ। নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে কারও জানাজায় গেলে তাঁর সঙ্গে অনেকের দেখা হয়। তখন কি তাঁকে দেখে কেউ মুখ ফিরিয়ে চলে যাবেন। মানুষ হিসেবে কুশল বিনিময় হতেই পারে। তার জন্য একযোগে এত নেতা–কর্মীকে শোকজ করা উচিত হয়নি।