গরুর নাম ‘রাজবাড়ীর রাজা-১’, দাম ২৫ লাখ

‘রাজবাড়ীর রাজা-১’ নামে ষাঁড়টিকে গোসল করানো হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে
ছবি: এজাজ আহম্মেদ

শখ করে গরুর নাম রাখা হয়েছিল ‘রাজবাড়ীর রাজা’। পরে জানা গেল পাংশা উপজেলায় একই নামে আরেকটি গরু আছে। ফলে নামকরণ করা হলো ‘রাজবাড়ীর রাজা-১’। এ কথা জানলেন ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের মালিক মুখলেছুর রহমান।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে মুখলেছুর রহমানের বাড়ি। তিনি পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। তবে চলমান লকডাউনের কারণে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি।

মুখলেছুরের ভাষ্য, গরুটির বয়স প্রায় চার বছর। ওজন প্রায় ৩০ মণ। তিনি সকাল ও সন্ধ্যায় গরুটির পরিচর্যা করেন। বাকি সময় তাঁর স্ত্রী পরিচর্যা করেন। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ান। সাধারণত ঘরের মধ্যে ষাঁড়টি রাখা হয়। কিছুদিন আগে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শনীর জন্য তোলা হয়। সে সময় ‘রাজবাড়ীর রাজা-১’ উপজেলার সেরা গরু হিসেবে তিনি পেয়েছেন সনদ ও সম্মাননা।

‘রাজবাড়ীর রাজা-১’ নামে ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে
ছবি: এজাজ আহম্মেদ

মুখলেছুর রহমানের স্ত্রী মিতানূর বলেন, সন্তানদের মতো করে ষাঁড়টি যত্ন করেছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে। গোসল করানো হয়েছে। গরুটিকে দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ আসে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজবাড়ী শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের বাইরে পদ্মা নদীর পাড়ে মুখলেছুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আধা পাকা ঘরে ষাঁড়টিকে রাখা হয়েছে। ঘরের পাশেই বেড়া দিয়ে ছাগল পালন করা হয়।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খায়ের উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজবাড়ীর রাজা-১’ নামের ষাঁড়টি সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। প্রদর্শনীতে বিচারকদের বিবেচনায় গরুটি প্রথম স্থান অধিকার করে।