গাছের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নারী নিহত, শিশুসহ আহত ১৫

দুর্ঘটনায় আহত তিন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী সদর উপজেলায় বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ শিশুসহ ১৫ জন বরযাত্রী। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার সমিতি মসজিদ এলাকায় সোনাপুর-আলেকজান্ডার সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম সুমি আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। গুরুতর আহত দুই শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের মান্নান নগর থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আজাদনগরে কনের বাড়িতে যাচ্ছিল মাইক্রোবাসটি। কালাদরাপ ইউনিয়নের সমিতি মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে যায়। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মাইক্রোবাসটির সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা নারী-শিশুসহ ১৬ জন আহত হন। আহত সুমি আক্তারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আহত অন্যরা হলেন মুন্নি আক্তার (৩০), মো. রাব্বি (২১), শিহাব উদ্দিন (৩৮), সামিয়া আক্তার (৪), প্রাপ্তি (৪), পপি আক্তার (১৮), মো. শাওন (২), মো. দুলাল (৫), রোজিনা আক্তার (২০), আবদুর রহমান (২৫), বৃষ্টি আক্তার (১২), আনোয়ারা (২), মো. কাউছার (৩), মো. বিজয় (১২) ও মো. সিফাত (৯)। এঁদের মধ্যে তিন শিশু ছাড়া সবাই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারী মারা গেছেন। তবে এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।