গাজীপুরে হাত-পা বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

পিটিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে তাঁর প্রতিবেশীরা হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শনিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। নিহত যুবকের নাম সোহেল ভূঁইয়া (৩৫)। তাঁর বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাগ গ্রামে।

নিহতের পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোহেলকে শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁর প্রতিবেশী জুবায়ের ভূঁইয়া (২২), জেমি ভূঁইয়া (৩০), শুকুর আলী (৩৮), মামুন শেখসহ (৩৫) অজ্ঞাত চারজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে গ্রামের এক নারীর সঙ্গে সোহেলের পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। একপর্যায়ে গাছের সঙ্গে হাত-পা ও গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে সোহেলকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁরা। এতে সোহেলের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা তাঁকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে চলে যান। সেখানে শনিবার সকালে সোহেল মারা যায়।

সোহেলের ছোট ভাই সোহাগ ভূঁইয়া জানান, মিথ্যা অভিযোগ এনে এলাকার লোক তাঁর বড় ভাই সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে হত্যা করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) অভিজিৎ দাস জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে প্রতিবেশী পরিচয়ে জুবায়ের ও পনির নামে দুই ব্যক্তি সোহেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই দুই লোক পালিয়ে যান। সকাল আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তির ডান পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।