‘গায়েবি’ মামলায় দুই সপ্তাহ কারাগারে থাকার পর বিএনপির ৪৬ নেতা–কর্মীর জামিন

সখীপুরে ‘গায়েবি’ মামলায় ২ সপ্তাহ কারাভোগের পর জামিন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির ৪৬ জন নেতা-কর্মী। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করার আগে
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর জামিন মিলেছে উপজেলা বিএনপির ৪৬ জন নেতাক–র্মীর। আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাহমিদা কাদের তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুপুরে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম ফায়জুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ৫৬ জন আসামি ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান। অসুস্থতাজনিত কারণে ১০ জন ছাড়া বাকি ৪৬ জনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপির জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। নির্বাচনের ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা এলাকায় টহলরত পুলিশের গাড়িতে হামলা ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করে সখীপুর থানা-পুলিশ।

ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯৪ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার এক বছর ১০ মাস পর পুলিশ তদন্ত করে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ১২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

জামিন পাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল বাছেত, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, কালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খায়রুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি শাজাহান সাজু প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাদী হয়ে কয়েকটি “গায়েবি” মামলা করে।’ ওই সব ‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এসব মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এ সরকারকে হটানোর আন্দোলন সখীপুর থেকেই শুরু করা হবে।

এর আগে একই মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৫ নেতা–কর্মী গত ১২ জানুয়ারি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ২০ দিন কারাভোগের পর ১ ফেব্রুয়ারি একজন ছাড়া বাকি ২৪ জন জামিনে ছাড়া পান।