গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে কৃষক

রংপুরের তারাগঞ্জে হঠাৎ করে গো-খাদ্যের দাম বস্তাপ্রতি ২১০-২৭০ টাকা করে বেড়ে গেছে। এতে গরুর খামারের মালিক ও সাধারণ কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছোট–বড় মিলিয়ে প্রায় ১২৫টি খামারে ৮৭৫টি গরু আছে। এ ছাড়া কৃষকদের বাড়িতে প্রায় ৭০ হাজার গরু আছে। এসব গরুকে খড়ের পাশাপাশি গমের ভুসি ও বুটের খোসা খাওয়ানো হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ভুসি ও বুটের খোসার প্রতিটি বস্তার দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে বস্তাপ্রতি গমের ভুসির বস্তার দাম ২০০ টাকা ও বুটের খোসার বস্তার দাম ১০০ টাকা করে বেড়েছে।

উপজেলার ইকরচালী, হাড়িয়ারকুঠি, আলমপুর, সয়ার ও কুর্শা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন আগেও গো-খাদ্য গমের ভুসি প্রতি বস্তা (৩৭ কেজি) বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২৪০ টাকা ও বুটের খোসা প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) ৯৫০ টাকায়। কিন্তু তা বর্তমানে গমের ভুসির বস্তা ১ হাজার ৪৫০ টাকা ও বুটের খোসার বস্তা ১ হাজার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এক বস্তা (৫০ কেজি) চালের খুদ ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১ হাজার ৫০ টাকায়। ৮-৯ টাকা কেজির চালের কুঁড়া বর্তমানে ১০-১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জগদীশপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের খামারে ২০টি গাভি আছে। প্রতিদিন তাঁর দুই বস্তা করে গমের ভুসি ও এক বস্তা বুটের খোসা লাগে। কিন্তু হঠাৎ করে ভুসি ও বুটের খোসার দাম বাড়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। মশিয়ার রহমান বলেন, ‘ভাই গরু-বাছুর নিয়া খুব কষ্টে আছি। ভুসির দাম বাড়ায় গাভিগুলাক খাবার দিতে পারছি না। ওই জন্যে গরুর স্বাস্থ্য শুকি যায়ছে, দুধ কম হওছে।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ালে সাধারণ কৃষক ও খামারিদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। কেন এভাবে দাম বাড়ছে, তা খোঁজ করে দেখা হবে।