গৌরীপুরে মেয়রকে আসামি রেখেই মাসুদুর হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা

ময়মনসিংহ জেলার মানচিত্র

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ওরফে শুভ্র হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে মামলার তদন্তকারী ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি চলবে।

অভিযোগপত্রে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মাসুদুর হত্যার ঘটনায় মেয়রসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। এ পাঁচজন হলেন কামাল মিয়া (৩৫), মাঈন উদ্দিন (২০), শরীফুল ইসলাম (২২), রুহুল আমিন (২৮) ও শাজাহান মিয়া (২৫)।

অভিযোগপত্রে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারের ১৪ ছাড়াও মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে গৌরীপুর পৌর শহরের মধ্যবাজার পান মহাল এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে মাসুদুর রহমানকে (৩৪)।

মাসুদুরের পরিবারের অভিযোগ, মাসুদুর গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ কারণে তৎকালীন পৌর মেয়র (পরবর্তী সময়ে পুনর্নির্বাচিত হয়ে বর্তমান মেয়র) সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এ হত্যায় ইন্ধন দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশ গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামানসহ তিনজনকে আটক করে। পরে ২০ অক্টোবর মেয়র রফিকুলসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে শুরু থেকেই মেয়র এ হত্যায় তাঁর কোনো ইন্ধন নেই বলে দাবি করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করে আসছেন।

মাসুদুর হত্যা মামলায় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে তিন সপ্তাহের জামিন পান। জামিন শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হলে গত জানুয়ারি মাসে তিনি ময়মনসিংহের নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আবারও জামিন পান। গত ৩০ জানুয়ারি তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।