গ্রেপ্তার কর্মীদের জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে তৈমুর

নির্বাচনী কাজের সময় গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের জামিনের আবেদন নিয়ে আজ সোমবার আদালতে যান স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। জেলা আদালত প্রাঙ্গণ, নারায়ণগঞ্জ
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার তাঁর গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের জামিনের আবেদন নিয়ে আজ সোমবার আদালতে যান। তিনি আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক-অঞ্চল) নুরুন্নাহারের আদালতে জামিন শুনানি করেন।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের আগ থেকে তিনি অভিযোগ করে আসছিলেন, তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের আগ থেকে পুলিশ তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে আসছে। ভোটের দুই দিন আগে ১৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোটের আগের দিন রাতে তাঁর বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে পুলিশ আরও ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের হেফাজতে ইসলামের গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আদালতে শুনানিতে বলেছি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। আমি যদি নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোনো ভুল করে থাকি, তাহলে আমার দুজন গাড়িচালকসহ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক, আমাকে গ্রেপ্তার করা হোক।’ শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, জামিন শুনানি হয়েছে। আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর তৈমুরের সমর্থক মমতাজ মিয়া (৩৫), মো. জামাল (৪৯), আহসান হোসেন (৩৯), মনির হোসেন (৩৮), আহসান উল্লাহ্ (৪৮), কাজী জসীম উদ্দিন (৪০), বোরহান উদ্দিন (৪৫), আবু তাহের (৫২) ও জয়দেব চন্দ্রকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের হেফাজতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।