ঘোড়াশালে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ঘোড়াশালের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. রাজীব (৩০) ও চামড়াব এলাকার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. রিফাত (২০)।

পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে উপজেলার জনতা জুট মিলের এক কর্মচারী স্ত্রীকে নিয়ে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরতে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই স্টেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে তাঁরা ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন।

তখন রাজীব, রিফাতসহ তিনজন তাঁদের কাছে আসেন এবং তাঁরা স্বামী-স্ত্রী কি না, তা জানতে চান। পরে যাচাইয়ের নামে তাঁদের দুজনকে নির্জন স্থানে যেতে বলেন। তাঁরা যেতে না চাইলে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে টান ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই রেললাইনের মাঝের খালি জায়গায় ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ওই তিনজন।

ওই নারীর স্বামী বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে রাতে তিনি তাঁর মুঠোফোন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করেন। পরে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। খবর পেয়ে রাতেই ওই ফাঁড়ির পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে রাজীব ও রিফাতকে আটক করে।

ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তকেও আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল রেলওয়ের জায়গায় হওয়ায় আটক দুই আসামিকে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা তারাই নেবে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা হবে। আটক দুই আসামি ও ওই দম্পতিকে ভৈরব রেলওয়ে থানায় পাঠানো হয়েছে।