চট্টগ্রামের মানুষ কোনো স্থাপনা না চাইলে চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই: রেলমন্ত্রী

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই সবার জন্য শিরোধার্য বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম। তবে রেলের পক্ষ থেকে সেখানে হাসপাতালের স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি প্রাথমিক অবস্থায় খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ যদি কোনো স্থাপনা না চান, তাহলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী নূরুল ইসলাম।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ১৮ মার্চ সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল প্রকল্পের চুক্তি সই ও অনুমোদন হয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) এসব নির্মাণ করবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ১২ বছর। ইতিমধ্যে রেলওয়েকে আট কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলওয়েকে হস্তান্তর করা হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়। আর প্রকল্পটি হবে বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল ও সংলগ্ন খালি জমি, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্টাফ কোয়ার্টারের ছয় একর জমিতে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী এখন চলছে নির্মাণযজ্ঞের প্রস্তুতি।

চট্টগ্রাম নগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সিআরবি এলাকায় স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোকজন আন্দোলন শুরু করেন। নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম ও সিআরবি রক্ষা মঞ্চের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

তবে আন্দোলন শুরুর আগে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী বা রেলওয়েকে কোনো অভিযোগ দেননি বলে জানান রেলমন্ত্রী। তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ দেওয়ার আগেই আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। যা পেপার-পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন। অভিযোগ দেওয়ার পর যদি জোর করে কিছু করা হতো, তাহলে আন্দোলন করা যেত।

রেলমন্ত্রী বলেন, পিপিপির আওতায় যখন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ বিরোধিতা করেননি। এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে আসার পর আন্দোলন শুরু হয়েছে।

হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী আছেন, এমপি আছেন, কেউ এর বিরোধিতা করেননি।