চট্টগ্রামে ঈদের বাজারে ভিড় বেড়েছে

চট্টগ্রাম নগরের একটি বিপণিবিতানে। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরের প্রবতক মোড় এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

শুক্রবার বেলা তিনটা! চট্টগ্রাম নগরের মিমি সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে গাড়ির জট। কয়েকটি রিকশা থাকলেও অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি। এসব গাড়িতে করে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন লোকজন।

লকডাউনের মধ্যে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের কয়েকটি এলাকায় গাড়ির জট দেখা গেছে। এসব এলাকায় নগরের বড় বড় বিপণিবিতান ও শপিং মলের অবস্থান। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আজ ক্রেতাদের ভিড় ছিল অন্য দিনের তুলনায় বেশি৷
বিশেষ করে নিউমার্কেট, তামাকুমুণ্ডি লেন, টেরিবাজার, হকার্স মার্কেট এলাকায় ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

নগরের প্রবর্তক মোড়ের মিমি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় আজ ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। বেচাবিক্রিও একেবারে মন্দ বলা যাবে না।

তবে মার্কেট খোলা রাখার সময় নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, রমজানের সময় মানুষ সকালে মার্কেটে আসেন না। বিকেলে আর ইফতারের পর কেনাকাটা করতে বের হন। কিন্তু রাত আটটার মধ্যে মার্কেট বন্ধ করে দিতে হয়। এতে কেনাকাটাও তেমন হচ্ছে না।

একই কথা বলেছেন নগরের জিইসি মোড়ে স্যানমার ওশান সিটি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান উল্লাহ হাসান। তিনি বলেন, লকডাউন আর করোনার কারণে এবার তেমন ক্রেতা নেই। এর মধ্যে সময়ও দেওয়া হয়েছে কম।

দুই ব্যবসায়ী নেতা রাত ১০টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম নগরের একটি বিপণিবিতানে। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরের প্রবতক মোড় এলাকায়
ছবি: জুয়েল শীল

আজ বিকেলে নগরের টেরিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সামনের সড়কে গাড়ির জট লেগে আছে। কেনাকাটা করতে আসা লোকের ভিড় ছিল রাস্তায়। ভেতরের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। তাঁদের চাহিদা ও পছন্দের পোশাক-জুতা সরবরাহে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরা।

পৌর জহুর হকার্স মার্কেটেও একই চিত্র দেখা গেল। নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। নগরের চকবাজার থেকে মেয়েকে নিয়ে আসেন চাকরিজীবী আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বড় মার্কেটগুলোতে যাওয়ার সাধ্য নেই। তাই হকার্স মার্কেটই ভরসা। এখানে স্বল্প দামে প্রয়োজনীয় পোশাক পাওয়া যায়।

আরেক ক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, করোনার ভয় আছে। কিন্তু ঈদে কিছু কেনাকাটা করা দরকার। তাই মার্কেটে এসেছেন।

অন্যান্য দিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান দোকানি মোহাম্মদ রফিক। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় তা কম বলে দাবি তাঁর।