চমেকে ডায়ালাইসিস বন্ধ, রোগীদের বিক্ষোভ

সকালে চমেক হাসপাতালে এসে ডায়ালাইসিস বন্ধ দেখে বিপাকে পড়েন রোগীরা
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আজ বুধবার সকাল থেকে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। এর প্রতিবাদে স্বজনেরা হাসপাতালের নিচতলায় এবং সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেছেন।

স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ডায়ালাইসিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে উল্লেখ করে আজ সকাল থেকে দুই হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্যানডোরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) নাজমুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে আমাদের ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আমরা চাই না কোনো রোগী কষ্ট পাক। কিন্তু আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। টাকার অভাবে আমরা কাঁচামাল কিনতে পারছি না। আমাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’

সকালে চমেক হাসপাতালে এসে ডায়ালাইসিস বন্ধ দেখে বিপাকে পড়েন রোগীরা। এ সময় তাঁরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি বলেন, ডায়ালাইসিস করাতে তিনি তাঁর বাবাকে নিয়ে সকালে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ডায়ালাইসিস হবে না। এ কারণে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। অন্যান্য রোগীর স্বজনেরাসহ প্রায় ৪০ জনের একটি দল বিক্ষোভ করে।

চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিসের জন্য ৩১টি মেশিন রয়েছে। এতে চার শিফটে প্রতিদিন ১১০ জনের মতো রোগী ডায়ালাইসিস করতে পারেন। ছাড়সহ রোগীপ্রতি ৫১০ টাকায় এবং ছাড় ছাড়া ২ হাজার ৭৯৬ টাকায় ডায়ালাইসিস করা যায়।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আবারও ডায়ালাইসিস চালুর চেষ্টা চলছে।