চরভদ্রাসনে ভোটার উপস্থিতি কম, একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ

সকাল সোয়া নয়টার দিকে চরভদ্রাসন আদর্শ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি। চরভদ্রাসন, ফরিদপুর, ১০ অক্টোবর
প্রথম আলো

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। ভোট শুরুর পর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে চরভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরে রাখার ঘটনায় কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রটির মোট ভোটার ২ হাজার ৫০০। এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বলেন, রাতে ভোট কেটে বাক্সে ভরে রাখার ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে দুটি অস্থায়ী কেন্দ্রসহ মোট কেন্দ্র আছে ২৪টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ৯৪৩। স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার মোল্লা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আর গত ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি প্রার্থী বাদল। নির্বাচনের মাঠে বর্তমানে পাঁচজন প্রার্থী সক্রিয় থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাওসার হোসেনের সঙ্গে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম ওবায়দুল বারীর মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম ওবায়দুল বারীর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর যুদ্ধংদেহী কর্মকাণ্ডের কারণে ভোটারদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। তাঁরা মনে করছেন ভোট সুষ্ঠু হবে না। এ জন্য হয়তো কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম।
এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. কাউসার হোসেন বলেন, পরাজয় অনিবার্য জেনে আবোলতাবোল কথা বলছেন ওবায়দুল। নির্বাচনের আগে কোনো ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ভোটারদের কম উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকে সকালে খেতখামারে চলে গেছেন। দুপুরের পর কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারণে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এই উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে ১০ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।