চাঁদপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘বঙ্গবন্ধু গেট’

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাবুরহাট নামক এলাকায় নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গেট
ছবি: প্রথম আলো

মুজিব জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চাঁদপুর শহরের প্রবেশপথে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু গেট’। জেলা পরিষদের উদ্যোগে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাবুরহাটে এই গেটের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চাঁদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারীর উদ্যোগে এই গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। তাঁর পরিকল্পনায় ‘বঙ্গবন্ধু গেটের’ নকশা করেছেন ঢাকার একটি পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের স্থপতি ফুয়াদ হাসান তানভির। ছয় মাস আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।

ইকবাল হোসেন বলেন, এটি শেষ হতে অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজে প্রতিদিন এই কাজের তদারকি করেন। নির্মাণ শেষ হলে এটি হবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর একটি গেট।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে গেটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার আশা
ছবি: প্রথম আলো

স্থপতি ফুয়াদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনীকে ঘিরে করা হয়েছে এই গেট। যেটি দেখতে সড়কের দুই পাশ থেকে একই রকম মনে হবে। এতে ঘিরে রয়েছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার প্রতিচ্ছবি, বঙ্গবন্ধুর চারটি ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধুর পাঁচ সন্তানের প্রতিচ্ছবি, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাসহ শান্তির ঝরনা প্রতীক।

চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু গেট’ করার উদ্যোগ নেন তিনি। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ব্যতিক্রম কিছু করার। যেটি নতুন প্রজন্মসহ সারা দেশের মানুষের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকে। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ দেশবাসী এটি দেখে মুগ্ধ হবেন।’