চার মাস পর খুলনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
খুলনা মহানগরে অবস্থিত দুটি বেসরকারিসহ পাঁচটি করোনা হাসপাতালের মধ্যে একটিতে একজন করোনা রোগী মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। টানা চার মাসের বেশি সময় পর খুলনার হাসপাতালগুলোয় সর্বনিম্ন মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ১ এপ্রিল খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ৮ আগস্ট মারা যান ২ জন।
করোনায় মৃত নারীর বয়স ২২ বছর। তাঁর বাড়ি নড়াইল জেলায়। দুই দিন আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
খুলনা জেলায় আজ করোনায় কেউ মারা যাননি। এটা নিয়ে টানা ১৪ দিন খুলনার হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা দুই অঙ্কের নিচে থাকল।
ওই সময়ের মধ্যে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা সদর (জেনারেল) হাসপাতাল, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয়ও কেউ মারা যাননি।
এদিকে খুলনায় মৃত্যু কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে খুলনার মানুষের মধ্যে। হাসপাতালগুলোয়ও কমেছে রোগীর চাপ। অন্যদিকে শনাক্তের হারও আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক নেমে এসেছে। এতে খুলনার করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
খুলনায় ডেল্টা ধরন শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোয় ৫ থেকে ২৫ জন পর্যন্ত করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছিল। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটা কমেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ৬২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৮। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৫।
খুলনা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম সদস্য ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, বিধিনিষেধ ও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বাড়ায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে এমন পরিস্থিতি ধরে রাখতে হলে সবাইকে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তির তথ্য থেকে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ১১৩ জন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত আছেন ৪৭ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৩ জন। এ ছাড়া ওই হাসপাতালে থাকা ২০টি এইচডিইউতে ভর্তি আছেন ১৩ জন। আর ২০টি আইসিইউ শয্যার সব কটিই পরিপূর্ণ।