চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন কাশিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, লোহাগড়া খাদ্যগুদামের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরান হোসেন (বর্তমান ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ও কাশিপুর ইউনিয়নের শারুলিয়া গ্রমের চাল ব্যবসায়ী মো. শাহাবুর রহমান।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুস্থ মানুষের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ হয়। কাশিপুর ইউপিতে ৪১ দশমিক ৫৫০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বরাদ্দ গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট ২৪ মেট্রিক টন চাল লোহাগড়া খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন। তাঁর ইউনিয়নের গুদামে চাল রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার অজুহাতে তিনি ১৭ দশমিক ৫৫০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে রেখে আসেন। ওইদিনই চাল উত্তোলনের সময়সীমা ছিল।

এরপর খাদ্যগুদামে রাখা চালের মধ্যে ৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন চাল চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশ করে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কামরান হোসেন ব্যবসায়ী মো. শাহাবুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। যার মূল্য ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৩ টাকা। খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো নছিমনে করে নড়াইলের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেগুলো আটক করে। তবে বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় পুলিশ লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তা দুদকে পাঠায়।

দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবেন সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।

দুদকের মামলার বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘খাদ্যগুদাম থেকে চাল বিক্রি হয়েছে। ওই চাল আমার ইউনিয়নের ছিল না। আর খাদ্যগুদাম থেকে চাল বিক্রির দায় আমার কীভাবে হয়? এটা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র।’