চুয়াডাঙ্গায় কোভিডে জেলা পরিষদ সদস্যের মৃত্যু

আসাবুল হক

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আসাবুল হক (৫২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল হক জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে আসাবুল হক ১৪ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে করোনা ওয়ার্ডের রেড জোনে চিকিৎসাধীন থাকার সময় অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে আজ বিকেলে তিনি মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শামীম কবির জানান, ১৪ আগস্ট করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তির পর আসাবুল হকের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৬ আগস্ট পাওয়া প্রতিবেদনে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।
আসাবুল হক জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় বোয়ালিয়া গ্রামের মরহুম সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর সবশেষ অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড (ভাংবাড়িয়া, হারদী ও কুমারী ইউনিয়ন) থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আসাবুল হক ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ জন্য ৩ আগস্ট নিজ গ্রামে বড় পরিসরে পরিচিতি সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। প্রীতিভোজে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। এর পরদিনই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জানান, আসাবুল হকের মরদেহ ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, আসাবুলকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে বড় অসময়ে হারাল।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সামসুল আবেদীন গভীর শোক ও মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।