চুয়াডাঙ্গায় ভারতফেরত কিশোরের করোনায় মৃত্যু

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ভারতফেরত এক কিশোর করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে। ভারতফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা এটাই জেলায় প্রথম। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া কিশোরের নাম সাকিব উদ্দিন (১৭)। সে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে। একই রাতে করোনায় সংক্রমিত এক বৃদ্ধ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। আবুল হোসেন (৭৫) নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার মদনা গ্রামে। দুজনের লাশ করোনা প্রটোকল মেনে দাফনের জন্য আজ শুক্রবার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে দর্শনা বন্দর হয়ে ১৭ মে থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ভারত থেকে মোট ৪০০ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ৬৬ জন এসেছেন আজ সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এর আগে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮, ১৯ ও ২০ মে মোট সাতজন করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হন। তারপর আজ দুপুর পর্যন্ত আর কোনো রোগী আসার তথ্য মেলেনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ক্যানসার ও ফুসফুসের সমস্যার চিকিৎসা করতে ভারতে গিয়ে সাকিব উদ্দিন মা–বাবাসহ আটকা পড়ে। ৯ মে তাঁরা যশোরের বেনাপোল বন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করেন। সেখানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সাকিব ও তার মায়ের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর যশোর থেকে ওই তিনজনকে ১১ মে রাতে চুয়াডাঙ্গায় পাঠানো হয়। ১২ মে পিসিআর–ল্যাবে পরীক্ষায় তাঁদের করোনা শনাক্ত হয়। তখন থেকে সাকিব ও তার মা–বাবা তিনজনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়।

আর আবুল হোসেন করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৫ মে এই হাসপাতালের ইয়েলো জোনে ভর্তি হন। ১৬ মে পরীক্ষায় তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর তাঁকে রেড জোনে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম প্রথম আলোকে বলেন, ভারতফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৮ জন বর্তমানে হাসপাতালের রেড জোনে এবং ১০ জন ইয়েলো জোনে ভর্তি আছেন।

এদিকে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়া এবং তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নের জন্য জেলা পর্যায়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে।