ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে (৩৪) আসামি করে আজ মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ইয়াকুব আলী ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের বাসিন্দা।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তাঁর ছেলে ঝিকরগাছা উপজেলার কুমড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। সেখানে থেকে সে পড়াশোনা করে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সে কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি চলে আসে। পরদিন শুক্রবার তাকে মাদ্রাসায় পাঠালে সে মাদ্রাসায় না গিয়ে আবারও বাড়ি ফিরে আসে। মাদ্রাসায় না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, হুজুর তার সঙ্গে ‘খারাপ কাজ’ করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাদ্রাসায় তাঁর শয়নকক্ষে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই শিশুকে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন তিনি।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাদ্রাসায় তাঁর শয়নকক্ষে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তিনি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই শিশুকে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন।

একটি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে আটকে রেখে বাঁকড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা আজ মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।