ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা–কর্মী আহত

ছাত্রলীগের হামলায় আহত (বাঁ থেকে) মনির হোসেন, জামাল শরীফ ও মাহাতাব সরদার
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদীতে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এ হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন। উপজেলা বিএনপি বলছে, আজ সোমবার সকালে তাদের নেতা–কর্মীদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় আহত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হামলার এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন– গৌরনদী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ফকির, গৌরনদী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুলবুল সরদার, সদস্য মাহাতাব সরদার ও চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার।

তাঁদের মধ্যে শাহ আলমের হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে গেছে এবং জামাল শরীফ পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে একজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গৌরনদী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম ফকির বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল সদর (উত্তর) বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। বরিশালে যাওয়ার উদ্দেশে গৌরনদী বন্দরের বাসা থেকে বের হয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লোকাল কাউন্টারে পৌঁছান। সকাল থেকে সেখানে ওত পেতে থাকা সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল শরীফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১০–১৫ জন লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন।

জামাল শরীফ অভিযোগ করে বলেন, বরিশালে আসার জন্য সকাল সাড়ে আটটায় আশোকাঠি হেলিপ্যাড এলাকায় পৌঁছালে তাঁর ওপর হামলা চালান রাতুল শরীফ ও তাঁর অনুসারীরা। একই অভিযোগ করেন আহত উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুলবুল সরদার, সদস্য মাহাতাব সরদার ও চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল শরীফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।