ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মঘট ব্যবসায়ীদের

সোমবার বিকেল থেকে দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেন কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে বোরকা পরিবর্তন করতে না পেরে টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে তর্কের জেরে এক ছাত্রলীগ কর্মী হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেল চারটা থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটের মামনি বোরকা হাউস থেকে একটি বোরকা কেনার পর গতকাল রোববার বিকেলে সেটি পরিবর্তন করতে আসেন রাব্বি নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। এরপর ওই দোকানে পছন্দমতো বোরকা না পেয়ে টাকা ফেরত চান তিনি। এ সময় দোকানের মালিক না থাকায় কর্মচারীরা তাঁকে পরে আসতে বলেন। এ সময় রাব্বির সঙ্গে দোকান কর্মচারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জেরে গতকাল রাতে মামনি বোরকা হাউসের মালিক ডলারের বৈশ্যপাড়ার বাড়িতে রাব্বিসহ তাঁর সহযোগীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

তাঁরা বলেন, এ ঘটনা সমাধানের জন্য ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে আজ দুপুরে বাজারে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনায় না বসে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীরা মামনি বোরকা হাউসের পার্শ্ববর্তী জননী ক্লথ স্টোরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এতে জননী ক্লথ স্টোরের মালিক হাফিজুর রহমান আহত হন। এরপর মার্কেটের সব কাপড়ের দোকান বন্ধ করে রাব্বিসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশন আমিন আজাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে জেলার ব্যবসায়ীদের নিয়ে অবিরাম ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।’

এটিকে ব্যক্তিগত ঘটনা উল্লেখ করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কোনোভাবেই দায়ী নয়।

বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’