ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অপহরণ
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আমলি আদালতে (রামগতি) মুশফিক মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মুশফিক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও রামগতির চরসীতা গ্রামের এজেডএম মুনছুরের ছেলে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাটি গ্রামের নবকুমার দাসের ছেলে তন্ময় দাস, কমল দাস, নবকুমার দাস, অয়ন দাস, প্রান্ত কুমার দাস, ধনঞ্জয় কুমার দাস, রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রামের প্রদন্ন মজুমদার ও নিরাশা মজুমদার।

মামলার বাদী মুশফিক মাহমুদ দাবি করেন, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি একই এলাকার এক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন। গত ১১ নভেম্বর শ্বশুর মারা গেলে তাঁ স্ত্রী বাবার বাড়িতে যান। এ সময় ওই বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ মামলার কয়েকজন আসামি তাঁর স্ত্রীকে আটকে রাখেন। পরে তাঁরা তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে পটুয়াখালীতে তন্ময়ের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তাঁরা তাঁর স্ত্রীকে অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে মুশফিক অভিযোগ করেন।

তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অপহরণের অভিযোগটি সঠিক নয়। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে মুশফিক ওই তরুণীকে বিয়ে করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মুশফিক এখনো তাঁকে বিয়ে করেননি। মেয়েটি তাঁর পরিবারের সঙ্গে নিজের ইচ্ছাতেই চলে গেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফাহাদ ইসলাম বলেন, আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ নুসরাত জামান মামলাটি আমলে নিয়ে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মামলার কপি এখনো হাতে আসেনি। এর আগে মামলার বাদী মুশফিকের কাছ থেকে তিনি ঘটনার বিবরণ জেনেছেন।