ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, হাতেনাতে ধরে কারাদণ্ড

কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি

স্কুল-কলেজ বা প্রাইভেট টিউশনে যাতায়াত করা ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। পথে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ ছাড়াও অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন। ছাত্রীরা অভিভাবকদের মাধ্যমে বারবার সতর্ক করেও লাভ হয়নি।

শেষ পর্যন্ত রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ানকে বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও উপজেলার বাসুপাড়ার মাথাভাঙা মোড়ে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম বাবুল হোসেন মৃধা (৩৫)। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের কামনগর গ্রামে। একই ধরনের অপরাধে ১০ বছর আগে ছয় মাসের কারাভোগ করেন তিনি। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাবুল হোসেন এলাকার স্কুল, কলেজ ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানের পাশে বা পথে অবস্থান নিয়ে তিনি ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন। ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা বলতেন। এর মধ্যে কয়েকজন ছাত্রী অভিভাবকদের মাধ্যমে বাবুল হোসেনকে সর্তক করে দেন। এত কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও একই ধরনের কাজ শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসুপাড়ার মাথাভাঙা মোড়ে বাবুল হোসেনকে হাতেনাতে ধরে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন ইউএনও।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, বিকেলেই দণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।