ছাদের পাশের বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ কিশোরী মারা গেছে
চট্টগ্রামের রাউজানে আত্মীয়ের বাসার ছাদের পাশের পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ কিশোরী এক মাস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা গেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
ওই কিশোরীর নাম সানজিদা আকতার (১৪)। সে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেক চৌধুরীর মেয়ে এবং স্থানীয় মহামুনি অ্যাংলো পালি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ মে সানজিদা তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়ির তৃতীয় তলার ছাদে উঠে আম পাড়তে যায়। এ সময় ছাদের পাশের ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তারে স্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায় সে। স্থানীয় ব্যক্তিরা দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরের দিন তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার দগ্ধ সানজিদার চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা তুলেছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেল না।’
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষ ওই কিশোরীর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, তার শরীর ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদুল্লাহ আল হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু পরিবার মামলা বা অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। এ কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। এখন যেহেতু ছাত্রীটি মারা গেছে, ফলে মামলা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।