ছিনতাই করা আইফোনের শনাক্তকারী ডিভাইস পাল্টে অনলাইনে বিক্রি করতেন তাঁরা: পুলিশ

বগুড়ায় মোবাইল ছিনতাই ও চুরি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। আজ বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

গ্রাহক সেজে ফুডপান্ডায় পণ্যের অর্ডার দিতেন তাঁরা। এরপর কর্মীরা ডেলিভারি দিতে এলে তাঁদের কাছে থাকা আইফোনের মতো দামি মুঠোফোন ছিনতাই করতেন তাঁরা। তাঁরা সবাই মুঠোফোন ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে তাঁদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। অনলাইনে ও ফেসবুকে বেচাবিক্রির জমজমাট কারবার খুলেছিলেন তাঁরা। ছিনতাই করা এসব আইফোনের যন্ত্রাংশ খুলে শনাক্তকারী ডিভাইস পাল্টে বিক্রয় ডটকমের মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সেগুলো বিক্রি করতেন তাঁরা।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু দামি আইফোন ও বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। গতকাল রোববার রাতে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নূর কবীর ওরফে শাকিল (২৪), মোহাম্মদ স্বাধীন (২০) ও সাদী আব্বাস (২০)। তাঁদের সবার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলায়।

পুলিশ সুপার বলেন, দুটি আইফোন, বেশ কিছু মুঠোফোনসহ প্রথমে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার জামিলনগর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ফুডপান্ডার ডেলিভারি ব্যাগসহ ছিনতাই করা তিনটি আইফোন, ডিভাইস বদল করা ৩৩টি আইফোন, বিভিন্ন ফোনের ৬০টি যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। ওই চক্রের মূল হোতা শাকিল। তিনি ফুডপান্ডার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। চক্রের কয়েকজন সদস্য ফুডপান্ডায় খাবার অর্ডার দিলে তা দিতে গেলে শাকিলের মুঠোফোন কেড়ে নেন। এরপর শাকিল নিজে ওই চক্রে জড়িয়ে পড়েন।

শাকিলের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে শাকিল আইফোনের শনাক্তকারী ডিভাইস বদলানোর কৌশল শেখেন। অনলাইনে মুঠোফোন বিক্রির জন্য শাকিল নাম-পরিচয় গোপন রেখে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন।

পুলিশ সুপার বলেন, শাজাহানপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।