ছেলের রডের আঘাতে বাবা নিহতের অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছেলের রডের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালি ঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম গফুর মিয়া (৫৫)। তিনি আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালি ঘাট গ্রামের বাসিন্দা। একই ঘটনায় গফুর মিয়ার স্ত্রী হাছনাতুন নেছা (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে গফুর মিয়ার অভিযুক্ত ছেলে জহিরুল মিয়া (৩১) পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের দাবি জহিরুল মিয়া মাদকাসক্ত। গতকাল রাতে জহিরুল বাড়িতে ফেরার পর তাঁর বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জহিরুল লোহার রড দিয়ে তাঁর বাবাকে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় গফুর মিয়াকে রক্ষা করতে তাঁর স্ত্রী হাছনাতুন নেছা এগিয়ে এলে জহিরুল তাঁকেও মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে গফুর মিয়া অচেতন হয়ে পড়লে জহিরুল সেখান থেকে পালিয়ে যান।

পরে প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় গফুর মিয়া ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে গফুর মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে হাছনাতুন নেছা বর্তমানে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানতে চাইলে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, গফুর মিয়ার ছেলে জহিরুল মাদকাসক্ত। জহিরুল এর আগেও দুবার তাঁর বাবাকে মারধর করেছেন।

কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক পবিত্র কুমার বলেন, নিহত গফুর মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত জহিরুলকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।