জাতীয় সংগীত বিকৃত করে টিকটক ভিডিও, পাঁচ শিক্ষার্থী আটক
জাতীয় সংগীত বিকৃত করে টিকটক ভিডিও তৈরির অভিযোগে বগুড়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে বগুড়া সদর থানা–পুলিশ গত সোমবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে।
আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন নূর–ই–ইসলাম আলিফ (২৩)। তিনি সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অপর চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের মধ্যে একজন (১৭) টিএমএসএস পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের, একজন (১৫) বগুড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এবং ১৭ বছর বয়সী অপর দুজন নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।
জাতীয় সংগীত অবমাননা করে টিকটক ভিডিও তৈরি করার অভিযোগে বগুড়া থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি—গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) সোহেল রানা।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ বলছে, অনলাইনে প্রকাশ করা একটি টিকটক ভিডিও পুলিশের নজরে আসে। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ ও কিশোর বগুড়ার সরকারি কোনো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত বিকৃত ও ব্যঙ্গ করে পরিবেশন করছেন।
ভিডিওটি পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার নজরে আসে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট তরুণ ও কিশোরদের খুঁজে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বগুড়া সদর থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের আলোকে সদর থানার পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করে। বর্তমানে পাঁচজনকেই বগুড়া সদর থানার পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অপপ্রচার চালানো এবং অসম্মান ও অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ‘দ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যানথেম, ফ্ল্যাগ অ্যান্ড এমব্লেম অর্ডার, ১৯৭২’ অনুযায়ী অপরাধ। এ ছাড়া এসবের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে কোনো ধরনের ভিডিও ধারণ এবং তা অনলাইনে প্রচার করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তির সুযোগ আছে।