জামালপুরগামী ট্রেনে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজনের মৃত্যু

নিহতের স্বজনদের আহাজারি। আজ সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে
ছবি: আব্দুল আজিজ

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর শহরের বাগেরহাটা এলাকার হাজারুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর মিয়া (২৪) ও  দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিতালি বাজার এলাকার ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে মো. নাহিদ (৩৫)। সাগর ঢাকায় রিকশা চালাতেন ও নাহিদ তেজগাঁও এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় রুবেল মিয়া নামের আরেকজন আহত হয়েছেন।

জিআরপি থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে পাওয়া যায়। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন।

গতকাল রাতেই মো. নাহিদের পরিচয় পাওয়া যায়। ট্রেনের ভেতরে থাকা তাঁর স্ত্রী বিপাশা আক্তার নাহিদের লাশ শনাক্ত করেন। অন্যদিকে আজ শুক্রবার সকালে নিহত সাগরের মা হনুফা বেগম তাঁর ছেলের পরিচয় শনাক্ত করেন।

হনুফা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে রিকশা চালাত। গতকাল দুপুরে সাগর বোনের বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর থেকে আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কমিউটার ট্রেনে ডাকাতির খবর পেয়ে আজ সকালে হাসপাতালের মর্গে এসে তিনি সাগরের লাশ শনাক্ত করেন। সাগরের দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

জামালপুর জিআরপি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। রেল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জামালপুর আসছেন। ঘটনাটি গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের মধ্যেই কোনো এক স্থানে ঘটেছে। ফলে কোথায় মামলা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলা হবে। অপরাধী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে।