জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময়ে পানি বাড়েনি, আবার কমেনি। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠ প্লাবিত হয়ে আছে। পানিবন্দী মানুষ খাবারের সংকটে আছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে পানি বাড়েনি। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

দুর্গত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। জেগে থাকা উঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে আছে। বন্যার কারণে তাঁরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কর্মহীন। ফলে তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়ার উপায় বেশির ভাগ বানভাসির নেই। অনেকেই গবাদিপশুর সঙ্গে ঘরের মধ্যে থাকছেন। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় পানি ভেঙে বেশির ভাগ বানভাসিকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ৫টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের ৯৩টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৭টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৩৮। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৩ হাজার ৭১২। আশ্রিত লোকের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৪৮। ১ হাজার ৯৪৪ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, এ পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলায় ৬ মেট্রিক টন চাল ও ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।