জামালপুরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ বাজারে পানি ঢোকেছে। ছবি আজ শনিবার সকালে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুর উপজেলার চিতালু, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ইউনিয়নের নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে। পানি গ্রামের কিছু কিছু বাসিন্দার আঙিনা পর্যন্ত চলে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে শুক্রবার থেকে পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মুক্তাদীর প্রথম আলোকে বলেন, যমুনার একদম তীরবর্তী ইউনিয়ন চুকাইবাড়ী। ইতিমধ্যে তাঁর এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়বে।

ইসলামপুর উপজেলার নদী-তীরবর্তী চিতালু ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন থেকেই পানি বাড়ছিল। গতকাল থেকে পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। গত রাতের মধ্যে ইউনিয়নের বামনা, হাড়গিলা, বলিয়াদহসহ বিভিন্ন নদী-তীরবর্তী গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবার বন্যায় যমুনার তীরবর্তী উপজেলা ইসলামপুর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, পুরো উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। গতকাল থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। তবে এখনো পানিবন্দী হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সভা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।