জামালপুরে যমুনার পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার সুরেরপাড় এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার চারটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ৭০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ১ হাজার ৬৭১টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসলামপুরের আমতলি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের লোকজন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণেও পানি দেখা গেছে। স্থানীয় কয়েকজন বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল আগেই প্লাবিত হয়েছে। এখন বন্যার পানি শহরের দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বন্যায় বাড়িঘরে পানি ওঠায় অনেকেই মালামাল নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার সকালে ইসলামপুরের বলিয়াদহ এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরের নিম্নাঞ্চল ছাড়িয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করছে।

ইসলামপুরের চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, গতকাল রাতের মধ্যে পুরো ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে পানি উঠেছে। তবে এখনো কোনো সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়নি। দ্রুত এসব এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার দরকার।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, বন্যাকবলিত প্রত্যেক উপজেলায় ত্রাণ, চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিতরণ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্যাকবলিতরা ত্রাণ পাবেন।