হত্যা মামলায় দিরাই উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়
ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার একটি জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক জেলের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই তাঁকে দিরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার প্রদীপ রায়কে আজ শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

১৮ অক্টোবর বিকেলে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের পাশের উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কাজল নূরপক্ষের রুহেদ মিয়া (৪০) মারা যান। আহত হন অন্তত ২০ জন। দুই পক্ষই জলমহালে মাছ ধরার চেষ্টা করছিল।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ওই জলমহাল ইজারা নিলেও এর পেছনে আছেন প্রদীপ রায়। তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভাটিপাড়া গ্রামে তাঁর পক্ষে নেতৃত্ব দেন শাহ আলম। সংঘর্ষে নিহত রুহেদ মিয়া কাজল নূরের চাচাতো ভাই। ঘটনার পাঁচ দিন পর নিহত রুহেদের ভাই সুহেদ মিয়া দিরাই থানায় প্রদীপ রায়সহ ৭৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, এ মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া মামলার ৩২ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

এ মামলা ছাড়াও প্রদীপ রায় আরেকটি হত্যা মামলার আসামি। ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় প্রদীপ রায়, দিরাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় প্রদীপ রায় জামিনে ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।