জয়পুরহাটে গির্জায় ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর, তরুণ গ্রেপ্তার

মাদার তেরেসা গির্জায় ঢুকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হাটশেখা আদর্শ গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হাটশেখা আদর্শ গ্রামের মাদার তেরেসা গির্জায় ঢুকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তরুণের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (২২) তিনি কালাই উপজেলার মূলগ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। জান্নাতুল ফেরদৌস মানসিক প্রতিবন্ধী বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূলগ্রামের তরুণ জান্নাতুল ফেরদৌস আজ সোমবার সকালে মাদার তেরেসা উপাসনালয়ে আসেন। তিনি গির্জায় ঢুকে যিশুখ্রিষ্ট, মাদার তেরেসা ও মাতা মরিয়মের মূর্তি ভাঙচুর করেন। এরপর খ্রিষ্টধর্মে লোকজন জান্নাতুল ফেরদৌসকে গির্জার ভেতরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে আটক করে। পরে এ ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, কালাই পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’

গির্জা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবাশ মুরমু বলেন, মূর্তি ভাঙা মানে ধর্মে আঘাত করা। মূর্তি ভাঙার পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাটি তদন্ত করে মূর্তি ভাঙার রহস্য উন্মোচন করবে বলে আশা করছেন।

কালাই থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তরুণ মানসিক প্রতিবন্ধী বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।