জয়পুরহাটে ট্রাকের চাপায় পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ট্রাকের চাপায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া ভ্যানচালক চাঁন মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটির ঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁন মিয়াকে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। তবে ঢাকায় নেওয়ার পথে সিরাজগঞ্জে তিনি মারা যান। চাঁন মিয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কেরামত আলীর ছেলে। দুই সন্তানের জনক তিনি। ভ্যান চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও কোমরগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষেতলালের নিশ্চিন্তা বাজারে যাওয়ার সময় ট্রাকের চাপায় চাঁন মিয়ার এক পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য পায়েও তিনি আঘাত পান। তাঁকে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় তাঁর রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেল।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে ভ্যানে ধান বোঝাই করে ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারে যাচ্ছিলেন চাঁন মিয়া। মাটির ঘর এলাকায় পৌঁছানোর পরে তাঁর ভ্যানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তখন তিনি ভ্যানটি ঘোরাতে গেলে দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই চাঁন মিয়ার একটি পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন এবং অন্য পা মারাত্মকভাবে থেঁতলে যায়।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার মাটির ঘর এলাকায় ধানবোঝাই একটি ভ্যানকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। উপপরিদর্শক মহা আলম বলেন, ‘ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’