টাকা নিয়ে করোনার টিকা দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকা নিয়ে করোনার টিকা দেওয়ার সময় এক নারী ও এক পুরুষকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন জনতা। আজ শনিবার সকাল থেকে উপজেলার রঙিলা বাজার এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে বসে তাঁরা দুজন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে সিনোফার্মের টিকার ৭টি ভায়াল, নগদ টাকা ও ৪৭টি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক দুজন হলেন জাহাঙ্গীর আলম (২৭) ও মোসা. পারভীন (২৫)। জাহাঙ্গীর শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। পারভীন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে। তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা হাসপাতাল–সংশ্লিষ্ট কেউ নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গণটিকা কার্যক্রমে প্রচুর ভিড় থাকায় অনেকেই ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে টিকা নিতে আসেন। বিকেলে আটক হওয়ার আগপর্যন্ত তাঁরা সেখানে প্রায় ২০০ জনকে টিকা দিয়েছেন। আরও ৫০ জনের কাছ থেকে অগ্রিম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা।
আটক দুজন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
মো. বিল্লাল হোসেন নামের টিকা নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ওই পাঁচজনের টিকার জন্য এক হাজার টাকা দিয়েছেন। পরে তাঁরা পাঁচজন ওই দুজনের কাছ থেকে টিকা নিয়েছেন। বিল্লাল বলেন, পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে রঙিলা বাজারের ওই অফিস থেকে টিকা দেওয়ার কথা জেনেছেন তাঁরা।
রুকসানা বেগম নামের এক কারখানাকর্মী বলেন, তিনি ৩০০ টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার আগেই ওই দুজনকে লোকজন আটক করেন।
জনতার হাতে আটক থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি শ্রীপুরের ধামলই এলাকার একটি টিকাকেন্দ্র থেকে এগুলো এনেছেন। কিন্তু কার কাছ থেকে টিকাগুলো সংগ্রহ করেছেন, তা তিনি বলেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, করোনাভাইরাসের এসব টিকা কোথা থেকে আনা হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।