টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্তমান ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ, বিকল্প ব্যবস্থার দাবি

‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে শোভাযাত্রা। । শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জে শহরের ডি এস রোডে
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ হয়েছে। এই হাওর সুনামগঞ্জের মাদার ফিশারিজ। তাই সুনামগঞ্জে মাছের উৎপাদন বাড়াতে টাঙ্গুয়ার হাওরে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে।

সুনামগঞ্জে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ ও বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। শনিবার পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সম্মেলন হয়।

সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। ইজারা প্রথা বাতিলের পর ২০০৩ সাল থেকে হাওরটি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। এ সময়কালে হাওরের সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগে কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি; বরং হাওরে গাছ, মাছ, পাখি কমেছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে আছে। হাওরের উন্নয়ন ও পর্যটন—দুটোর সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কমিউনিটিভিত্তিক যে ব্যবস্থাপনা আছে, সেটি বাতিল করে হাওরের সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নের বিকল্প ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে।

দুপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। পরে শহরে শোভাযাত্রা বের করেন সংগঠনের সদস্যরা।

শোভাযাত্রা শেষে উদ্বোধনী আলোচনায় আয়োজক সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক সুখেন্দু সেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সুনামগঞ্জের প্রবীণ নারীনেত্রী শীলা রায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।

পরে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে ইয়াকুব বখতকে সভাপতি ও ওবায়দুল হককে জেলা কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।