টানা তিন দিন ধরে রংপুর-ঢাকা রুটে বাস চলাচল আংশিক বন্ধ

শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বাস টার্মিনাল এখন সুনশান। আজ সকালে নগরের কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ঢাকাগামী বাসের চালকসহ রংপুরে কয়েকটি পরিবহনের শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। আজ বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো রংপুর থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার বেশ কিছু বাস চলছে না। গত মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা ছাড়াই পরিবহনশ্রমিকেরা এ আন্দোলন শুরু করেন।

আজ নগরের কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। তবে নাবিল, এনা ও শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে অন্য সব বাস বন্ধ থাকায় এই তিন বাসের টিকিট পাওয়া এখন সোনার হরিণ। শ্রমিকদের কর্মবিরতি জেনেও অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যে যাত্রীদের ঢাকা যাওয়া খুব প্রয়োজন, তাঁরা বিকল্প উপায়ে বা ভেঙে ভেঙে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

তবারক আলী নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমাকে যেভাবেই হোক ঢাকা যেতে হবে। বড় কোম্পানির বাসগুলো বন্ধ আছে। যে তিনটি বাস চালু আছে, সেগুলোতে যাত্রীদের অনেক চাপ। এরপরও চেষ্টা করছি, কোনোভাবে যাওয়া যায় কি না।’

তোজাম্মেল হোসেন নামের আরেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবহনশ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি যৌক্তিক। তবে এ বিষয়ে তো যাত্রীদের কিছু করার নেই। কিন্তু যাত্রীরাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক হোসেন আলী বলেন, এখনো গাড়ি চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ কোনো একসময় ঢাকায় বৈঠক হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বৈঠকের পর শ্রমিকদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ জানিয়েছেন, পরিবহনমালিকদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আজ ঢাকায় আলোচনায় বসার কথা আছে। গতকাল একবার আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। আজ হয়তো একটা সুরাহা হবে বলে আশা করছেন তিনি।