টিকটক করতে গিয়ে গ্রেপ্তার, পরীক্ষা দিতে দিল না বিদ্যালয়

টিকটক
এএফপি

টিকটক করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় এক ছাত্রকে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষার্থী ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ওই বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিকিৎসক সেজে টিকটক করতে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিল ওই কিশোর। ১২ মার্চ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাকে চিকিৎসকের পোশাক পড়া অবস্থায় আটক করে কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁকে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এক রাত থানাহাজতে কাটিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয় সে। সে আদালতের কাছে স্বীকার করে, চিকিৎসক সেজে টিকটক করতে গিয়েছিল সে। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

১২ মার্চ দ্বিতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডের সামনে থেকে ওই কিশোরকে চিকিৎসকের পোশাক পড়া অবস্থায় আটক করে শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই তার অভিভাবকদের কয়েকবার ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই কিশোরের বাবা বিদ্যালয়ে যাননি। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরকে বহিষ্কার না করলেও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি।

এ বিষয়ে ওই কিশোরের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলে একটা ভুল করেছে। তাই বলে সে ক্ষমা পেতে পারে না? বিজ্ঞান বিভাগের এ মেধাবী ছেলেটিকে একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক দিক বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।’

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী একটি মামলার আসামি। তাই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া আমাদের বিধিতে নেই।’