টিকা না পেয়ে ভান্ডারক্ষককে মারধর, যুবক গ্রেপ্তার
করোনার টিকা না পেয়ে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভান্ডাররক্ষককে মারধর করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মো. নুরুল আমিন (৩২)। তিনি আটপাড়া উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তাঁকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল নয়টায়ই টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় জমে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় টিকা শেষ হয়ে গেছে, আজ আর দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি জানার পর টিকা নিতে আসা লোকজন হইচই শুরু করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভান্ডাররক্ষক মির্জা আতাউর রহমান লোকজনকে চলে যেতে বলেন।
বিষয়টি নিয়ে টিকা নিতে আসা নুরুল আমিন আতাউর রহমানের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আমিন আতাউর রহমানকে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে নুরুল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুপুরে আতাউর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ভান্ডাররক্ষক মির্জা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা করোনার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সকালে টিকা দেওয়ার সময় ভিড় হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকা শেষ হয়ে যায়। পরে টিকা না পাওয়া লোকজনকে ধৈর্য ধরে আগামীকাল এসে টিকা নিতে বলা হয়। এ সময় নুরুল আমিন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
পুলিশ হেফাজতে থাকায় ভান্ডাররক্ষক আতাউর রহমানকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে নুরুল আমিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর ইকবাল বলেন, হাসপাতালের স্টোরকিপারকে মারধর করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।