টিকা নিলেই মিলছে উপহার

কক্সবাজারের টেকনাফে টিকা নিলেই দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারের টেকনাফে করোনার টিকা নিলেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় টিকা নিতে পারছেন না সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১২ হাজার নারী-পুরুষ। উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটার পর্যন্ত উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫টি কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হয়েছে।  টিকাগ্রহীতাদের উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে টেকনাফ সদর, সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩ হাজার ৪৩৬ জন টিকাগ্রহীতাকে টিকার পাশাপাশি উপহার দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টেকনাফ সদর ও সাবরাং ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও পারভেজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো এরফানুল হক চৌধুরী, টেকনাফ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম। এ ছাড়া হ্নীলা ও হোয়াইকং ইউনিয়ন টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র, উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতিপূর্ণ চাকমা ও বাহারছড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক (আরএমও) চিকিৎসক এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি দল। তবে সাগর উত্তাল থাকায় সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে।

সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপে এ পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এখানকার প্রায় ১২ হাজার নারী-পুরুষের সুরক্ষার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।

সরেজমিনে টেকনাফ সদর ও সাবরাং ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারিবদ্ধভাবে নিবন্ধন করা হয়। পরে নারী ও পুরুষেরা আলাদা বুথে গিয়ে টিকা নেন। টিকা নেওয়ার পরপরই স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের হাতে উপহার হিসেবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেন। এ সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নে টিকা নেওয়া বয়স্ক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার টিকার ব্যবস্থা করেছে তাও বিনা মূল্যে। আবার টিকা দেওয়ার পর সুরক্ষার জন্য মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে তুলে দিয়েছে। এই জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।’

টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিয়া ও সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা-কর্মীরা টিকাদান কেন্দ্রে আসা নারী ও পুরুষদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করছেন। যাঁদের মুখে মাস্ক নেই, তাঁদের মাস্কের ব্যবস্থার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার উপজেলায় ৩ হাজার ৪৩৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে।