টেকনাফে জেলের জালে একসঙ্গে ধরা পড়ল ২১০টি মাইট্যা মাছ

কক্সবাজারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ধরা পড়া মাইট্যা মাছ। আজ সোমবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে ফিশারিজ বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে এক জেলের জালে একসঙ্গে ২১০টি মাইট্যা মাছ ধরা পড়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এই মাছকে চাপা সুরমা বলা হয়ে থাকে। মাছগুলোর মোট ওজন ৭৫৫ কেজি।

আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে ফিশারিজ বাজারে ট্রলার থেকে ছোট-বড় ২১০টি মাছ নামানো হয়।

শাহপরীর দ্বীপ এলাকার সুলতান আহমদের মালিকানাধীন ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছগুলো ধরা পড়ে। বড় আকারের ৪০টি মাছের ওজন ৯ কেজি থেকে সাড়ে ১৫ কেজির মধ্যে। বাকি ১৭০টি মাছের ওজন সাড়ে ৩ কেজি থেকে সাড়ে ৬ কেজির মধ্যে। সর্বমোট মাছের ওজন হলো ৭৫৫ কেজি। ট্রলারমালিক সুলতান আহমদ মাছগুলো বিক্রি করেছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।

ওই ট্রলারের মাঝি নবী হোসেন বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছগুলো জালে আটকা পড়ার পর জেলেরা খুশিতে আত্মহারা হয়েছেন। দীর্ঘদিন পরে প্রচুর মাছ ধরা পড়ল জালে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লালু বলেন, বর্তমানে পর্যটন মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসছেন। খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে এসব মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ মাছের জন্য আগাম বুকিং দিয়েছে। প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা দরে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ টাকায় বিক্রি করা হবে। মাছগুলো বরফ দিয়ে প্যাকেট করে কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে পাঠানো হবে।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, শাহপরীর দ্বীপে মাইট্যা মাছ আটকা পড়ার খবর শুনেছেন। এই মাইট্যা মাছ খেতে খুব সুস্বাদু। মাইট্যা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Scomberomorus guttatus। মাছের প্রজনন ও ডিম ছাড়ার সময়ে ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত কর্মসূচি জেলেরা পালন করায় সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। তিনি মনে করেন, তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে এখন।