ঠিকাদারের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বুধবার দুপুরে ধুনট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য কামরুজ্জামান রঞ্জু
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পৈতৃক সম্পত্তিতে পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে মাসুদ নামের এক ঠিকাদারের রোষানলে পড়েছে একটি পরিবার। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধুনট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য।

অভিযুক্ত ঠিকাদার মাসুদ বগুড়া গণ্ডগ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। ধুনটের গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় তিনি থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য কামরুজ্জামান রঞ্জু। তিনি বলেন, ‘ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ি গ্রামে আমাদের বাবার সম্পত্তির ওপর একটি পুকুর আছে। নাটাবাড়ি-বাকশাপাড়া সড়কের পাশে এ পুকুর। চলতি বছর আমরা পুকুরটি সংস্কারের উদ্যোগ নিই। এরপর থেকে ঠিকাদার মাসুদ আমাদের পুকুর থেকে মাটি ক্রয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আমরা সেই প্রস্তাবে রাজি হইনি। এতে তিনি আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। পরবর্তী সময়ে পুকুরের দুই পাশের পাড় সংস্কারের মাটি মাসুদের কাছে বিক্রির প্রস্তাব দিলে তিনি বিনা পয়সায় নেওয়ার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করেন। এতে আমরা অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাদের পরিবারকে নানাভাবে বিপদে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের এক বড় ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আমাদের পুকুরটিতে ওই বড় ভাইয়ের জায়গা আছে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই বড় ভাইয়ের কোনো জায়গা পুকুরটিতে নেই। ঠিকাদার মাসুদ আমাদের বিপদে ফেলানোর জন্যই এসব করছেন।’

কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুকুর সংস্কার করতে আমরা একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। যদি আমরা পুকুর সংস্কারকাজ শেষ করতে না পারি, তবে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করব কীভাবে? বিষয়টি নিয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা ঠিকাদার মাসুদের রোষানল থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার মাসুদ বলেন, পুকুরের পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তা আছে। ওই রাস্তার অংশ ভেঙে পুকুরের পড়েছে। ফলে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। পুকুরের ভেঙে পড়া স্থানে মেরামত করে দিতে বলায় তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা।