ডাকাতির ৬৯ ভরি সোনা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাব্বির হোসেন ওরফে হাতকাটা স্বপন (৪৯), আরিফ হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪০), বিল্লাল মোল্লা (৩০), আনোয়ার হোসেন (৩২), ফারুক খাঁ (২১), আফজাল হোসেন (৪৭) ও মো. আক্তার হোসেন (৩২)। তাঁদের মধ্যে সাব্বির, বিল্লাল, আফজাল ও আক্তারের বাড়ি শরীয়তপুরে। আরিফ ও ফারুকের বাড়ি মাদারীপুরে। মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুরে।

১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে ১৮-২০ জন ডাকাত সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের সোনার দোকানে ডাকাতি চালান। প্রথমে বাজারের নৈশপ্রহরীদের হাত বেঁধে ফেলেন তাঁরা। পরে মুননাগ স্বর্ণ শিল্পালয় ও নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয় এবং মিল্টন ব্রাদার্স স্টোরে লুটপাট চালান। সে সময় দুটি সোনার দোকান থেকে ১০৮ ভরি সোনা ও ৩০ লাখ টাকা লুটে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন জানান, ঘটনার পরদিন থেকে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, কামরাঙ্গীরচর, বাবুবাজার, তাঁতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

আবদুল মোমেন জানান, অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট, ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার, পিস্তলের ম্যাগাজিন, গুলি, চাপাতিসহ ডাকাত দলের সাতজন এবং ডাকাতির স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অপরাধে আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও বাকি স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে।

আবদুল মোমেন বলেন, ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার ডাকাতেরা একটি বড় লঞ্চে ডাকাতির কথাও স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ডাকাতির সঙ্গে তাঁরা জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী রিপন বণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে।’