ডিজিটাল আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে মেসেঞ্জারে অশালীন মন্তব্যসহ সাংসদের এক মেয়ের ছবি ছড়ানোর ঘটনায় ডিজিটাল আইনের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। কাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন রিজভী (৪২)। তাঁর আগে গত রোববার একই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত রোববার একই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক হজরত আলী বলেন, এ মামলার সাক্ষী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রুহুল আমিন রিজভীর নাম উঠে আসে। মঙ্গলবার রাতে রিজভীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। তবে এর সঙ্গে তাঁর প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম ইমরানুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে রাব্বীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন পুলিশের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক এ এইচ এম ইমরানুর রহমান।

থানা-পুলিশ জানায়, শেখ মোহাম্মদ রাব্বীর ফেসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার থেকে শনিবার রাত ১২টা ২২ মিনিটে স্থানীয় সাংসদের মেয়ের ছবিসহ আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করা হয়। ইসরাত জাহান মেসেঞ্জারে তা দেখতে পান। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রোববার রাতে রাব্বীকে আসামি করে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। রাত ৯টার দিকে শহরের সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম ইমরানুর রহমান মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিন তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রাব্বীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তাঁর মামা চান মিয়া বলেন, কেউ রাব্বীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি খুলে তাঁকে বিপদে ফেলেছেন। এ বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তাঁকে আটক করে।