ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুরের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবিতে কসবায় মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবিতে তাঁর নিজ উপজেলা ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় মানবন্ধন। মঙ্গলবার বিকালে শহরের স্বাধীনতা চত্বরেপ্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান ওরফে মাসুদের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কসবা পৌর শহরের স্বাধীনতা চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদ। এই মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, হাফিজুর রহমান আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। তাঁরা সেই খুনের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি জানান।

আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমান
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিকেল পাঁচটার দিকে এ মানববন্ধন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে এ মানববন্ধন। এ সময় গোলাম ছাইদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, সাবেক সভাপতি মো. সোলেমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিম আহাম্মেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈদা সারা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান, চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকরাম হাসান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী একতেমাত ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন

হাফিজুর কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের হাফেজ মজিবুর রহমানের ছেলে। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে হাফিজুর রহমান দ্বিতীয়। বড় ভাই হাবিবুর রহমান স্নাতক পাস করে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। একমাত্র ছোট বোন মন্নি আক্তার স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

হাফিজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে হাফিজুর ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদ শেষে পরদিন ১৫ মে আবারও ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় ফিরে ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। ওই রাতেই তাঁর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়, ‘মা আমি ঢাকায় পৌঁছেছি।’ সেই কথোপকথনের পর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।

আরও পড়ুন

পরদিন হাফিজুর রহমানের মা সামসুন্নাহার বেগম কসবা থানায় হাফিজুরের নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই ডায়েরির সূত্র ধরে কসবা থানা-পুলিশ তাঁকে ঢাকার শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। শাহবাগ থানায় তাঁর বড় ভাই হাবিবুর রহমান যোগাযোগ করলে ওই থানার পুলিশ একটি লাশের ছবি দেখালে হাবিবুর রহমান তাঁর ভাই হাফিজুর রহমান বলে শনাক্ত করেন।

আরও পড়ুন